উচ্চস্তরের বিভিন্ন ভাষার মধ্যে প্রোগ্রামের গঠন ও ব্যাকরণ পার্থক্য দেখা যায়। প্রতিটি ভাষাতে প্রায় একই রকম সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান।

⏩প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কি সে বিষয়ে জানতে এই পোস্টটি দেখতে পারেন।
নিচে কয়েকটি উচ্চস্তরের ভাষার উদাহরণ দেওয়া হল-
সি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ(C)-

1970 সালের যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবরেটরীতে ব্রায়ান কারনিহান এবং ডেনিস রিচি প্রথমে এ ভাষা তৈরি করেন। ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেমের উন্নয়নে তিনি যথেষ্ট অবদান রেখেছেন।1978 সাল পর্যন্ত এ ভাষা শুধুমাত্র ল্যাবরেটরীতে ব্যবহার করা হতো। পরবর্তী সময়ে এই ভাষার সর্বসম্মুখে উন্মুক্ত করা হয় অত্যন্ত শক্তিশালী এবং কার্যকরী ভাষা হিসেবে জনপ্রিয়তা।ব্যাপক জনপ্রিয়তার অন্যতম কারন হচ্ছে পেশাদার সফটওয়্যার ডেভলপের কাজে সুবিধা।তবে ভাষার প্রোগ্রাম লেখার দক্ষতা অর্জন খুব কঠিন।
C++ প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ-
ব্যার্ন স্ট্রাউট্রাপ 1980 সালে বেল ল্যাবরেটরীতে (C++)সি প্লাস প্লাস ভাষা তৈরি করেন।++ হলো একটি অপারেটর যা চলকের মানকে পূর্বের তুলনায় এক বাড়িয়ে দেয়।সি++ ভাষার জন্ম হয় মূলত সি ভাষা থেকে। অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং করার প্রয়োজনে তৈরি হলেও যেকোনো ধরনের প্রোগ্রাম সিপ্লাস প্লাস ভাষায় রচনা করা সম্ভব।সি এর চেয়ে সি প্লাস প্লাস এ প্রোগ্রাম লেখা কষ্টকর হলেও বড় আকারের সফটওয়্যার তৈরিতে বহুল ভাবে ব্যবহৃত হয়। বাণিজ্যিকভাবে নির্মিত বড় অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ও অপারেটিং সিস্টেম সি/সি++ ভাষায় রচিত।
ভিজুয়াল বেসিক (Visual Basic)-

1964 সালে যুক্তরাজ্যের ডার্ট মাউথ কলেজের অধ্যাপক জন কেমিনি এবং টমাস কার্টজ প্রথম বেসিক ভাষা তৈরি করেন।Basic এর পূর্ণরূপ হল beginner’s all purpose symbolic instruction code. পরবর্তীকালে আরো সহজভাবে উপস্থাপন করার জন্য এ ভাষাকে GUI- graphical user interface এ রূপান্তর করা হয়েছে। চিত্রভিত্তিক রূপান্তরিত এই বেসিক ভাষাই হল ভিজুয়াল বেসিক।
জাভা(Java)-

জেমস গসলিং 1984 সালে সান মাইক্রো সিস্টেমে কর্মরত থাকা অবস্থায় জাভা প্রোগ্রাম উদ্ভাবন করে। তিনি জাভা প্রোগ্রাম এর জনক। সর্বসাধারণের জন্য জাভা 1.0. 1995 সালে বর্তমানে জাভা 1.7 ভার্শন পাওয়া যায় যা java 7 নামে পরিচিত।
ওরাকল(Oracle)-

উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষায় তৈরি ওরাকল কর্পোরেশন কর্তৃক চতুর্থ প্রজন্মের ডাটাবেজ সফটওয়্যার হল ওরাকল।থ্রি টায়ার আর্কিটেকচার বিশিষ্ট ব্যাক এন্ড ও ফ্রন্ট এন্ড এর সমন্বয়ে ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন রকম কাস্টমাইজ সফটওয়্যার তৈরিতে সুবিধা প্রদান করে। উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন লজিক কোড ও এখানে ব্যবহার করা যায়। সারা পৃথিবীর করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর 68 ভাগে ওরাকল ডাটাবেজ ব্যবহার করে।
অ্যালগল(algol)-

অ্যালগল এর পুরো নাম আলগরিদমিক ল্যাঙ্গুয়েজ।।Edsger w.Dijkstra এবং Jaap A. Zonneveld 1905 সালে algol 60 তৈরি করে। অ্যালগলই প্রথম প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যেখানে lexical scope এবং nested function ব্যবহৃত হয়। অ্যালগলে সর্বপ্রথম Begin এবং End কোড ব্লক ব্যবহৃত হয়।
ফোরট্রান(fortran)-

পাইথন(python)-

পাইথন এক ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ।Guido Von Rossum 1990 সালে এ ভাষা তৈরি করেন। সাম্প্রতিক সময় 2006 সালে পাইথন 2.5 রিলিজ হয়। পাইথন স্ক্রিপটিং ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আবার নন স্ক্রিপটিং এর ক্ষেত্রেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় পাইথন।
তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আমরা বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারলাম এবং এর জনক এবং কি কাজে ব্যবহার হয় সে বিষয়ে জানতে পারলাম।