
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ রুবা আক্তার (১৮) হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। খুলনার ডুমুরিয়ায় ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের চালক আছমাউল মোড়ল ওরফে জীবন (২৮) হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যুগান্তর ব্যুরোর পাঠানো খবর :
কিশোরগঞ্জ : গৃহবধূ রুবা আক্তার করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া মোড়লপাড়ার মৃত আবু বকর সিদ্দিকীর মেয়ে। সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন : ভাটিয়া মোড়লপাড়া গ্রামের মো. তাহেরের ছেলে লুৎতু (৩০), মৃত মীর হোসেনের ছেলে মো. সোহরাব (৪৫), তার ছেলে মো. শরিফ (২২) ও তার স্ত্রী মোছা. জোসনা (৪০) এবং মৃত ফালু মিয়ার ছেলে মুসলিম (৫৫) ও তার স্ত্রী নূর নাহার (৪০)। জানা যায়, ২০১১ সালের মে মাসের দিকে জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া মোড়লপাড়ার গ্রামে আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো. শামীমের সঙ্গে একই গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকীর মেয়ে রুবানা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের ১৫ দিন পর একই বছরের ৩ জুন রাত পৌনে ২টার দিকে বাড়ির পাশের ডোবায় শামীমের চাচতো ভাই লুৎতু, শরীফ ও চাচা সোরাব রুবার লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন ৪ জুন গৃহবধূ রুবা আক্তারের বড় ভাই মো. আলামিন বাদী হয়ে শামীমসহ সাতজনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহজাহান এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা : খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জিয়া হায়দার আছমাউল মোড়ল ওরফে জীবন হত্যায় সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। আছমাউল মোড়ল ডুমুরিয়া উপজেলার বাগদাড়ি নোয়াকাঠি এলাকার জহুরুল হক মোড়লের ছেলে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন : শুভংকর রায় (২৫) গাইট্টা, সুধাময় বালা ওরয়ে সুধাবৃন্দ বালা (৩০), অমিত বিশ্বাস (২৮) ও দিপংকর রায় (২৮)। এদের বাড়ি ডুমুরিয়ার বান্দা উলোরডাঙ্গা গ্রামে। রায় ঘোষণাকালে আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আট আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৯ অক্টোবর রাতে
আসামিরা মোটরসাইকেল নিয়ে ডুমুরিয়ার রংপুরে যাওয়ার কথা বলে আছমাউলকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরের দিন ২০ অক্টোবর ডুমুরিয়ার খড়িয়ার ওয়াপদা বাঁধের কাছ থেকে বুকে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় আছমাউলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে ডুমুরিয়া থানায় মামলা করেন।